Dream via Dalal vs Reality
Year of Publication: 2019
Anyone who takes money for giving wrong or misleading or illegal advice or biased information is a Dalal. These posts are collected from members who posted in the group.
Disclaimer:
PBSCU is ONLY useful for those prospective students who are seeking services that do not require any monetary compensation or referral to paid services. Therefore, we do not allow anyone [consultant], any post, or any comment in the group through which it may initiate/get referred to a paid immigration/visa/admission service, including regulated and unregulated ones [even if they are providing free advice]. We regularly remove members if someone is inboxing others and referring to paid professional services. However, we allow University or College officials to announce different study opportunities if they do not refer to paid services.
If you are looking for paid professional services, please seek help elsewhere and consult this website: https://www.canada.ca/en/immigration-refugees-citizenship/services/immigration-citizenship-representative/choose.html The College of Immigration and Citizenship Consultants Act is now in force. This Act provides a statutory framework to regulate immigration and citizenship consultants, and will make the forthcoming College of Immigration and Citizenship Consultants the official regulator of immigration and citizenship consultants across the country. The College will be an arms-length institution mandated to regulate the profession in the public interest by protecting both the public and consultants in good standing from dishonest actors who take advantage of vulnerable people. Although you do not need to use them but if you want to you know who to use from 2021. If you use them, make sure you submit a representative form so that it becomes official. Do not do any under the table transaction.
দালাল বিষয়ক কিছু কাহিনী পড়ুনঃ
1. মা আমি কানাডায়:
3. দালালের খপ্পরে নিঃস্ব ওরা http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=137656&fbclid=IwAR0UECaOGIZes8WGUP2IJdckD6r2heLfHqaAV04Xgut_-TJnbXOstlJJv4s
4. Travel consultant issues fake Canadian admission letters to 22 students
https://punchng.com/travel-consultant-issues-fake-canadian-admission-letters-to-22-students
5. More than 400 students in India told to retake language tests after Niagara College flags concerns
6. UPEI sees increase in fraudulent international student applications
7. Indian men say fake immigration consultant crushed their Canadian dreams
8. Minister defends new measures aimed at cracking down on immigration consultants
https://globalnews.ca/news/5247389/immigration-consultant-measures
9. Ottawa warns against use of immigration agents in India
https://www.ourwindsor.ca/news-story/9482667-ottawa-warns-against-use-of-immigration-agents-in-india
10. Fraudsters use bogus University of Waterloo acceptance letters to enter Canada
11. The foreign students who say they were lured to Canada by a lie
12. Canada stripping citizenship from Chinese man over marriage fraud
13. Canadian officials battle dozens of migration scams
14. International students in fake marriage schemes to Canada
15. Suicide among foreign students little talked about
16. Female foreign students endure harassment, exploitation
17. Indo-Canadians in uproar over surge of foreign students
18. The foreign students who say they were lured to Canada by a lie
--------------------------------------------------------------------------------------
This portion is written by Rohit Bashar
আধুনিক যুগের রবিনহুড দালাল/এজেন্ট/এজেন্সি/কন্সাল্ট্যান্ট
আপনারা হয়তো রবিনহুডের গল্প পড়েছেন, রবিনহুড বড়োলোকের টাকা মেরে গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দিত । দালাল হচ্ছে আধুনিক যুগের রবিনহুড যারা ধনী-গরিব সবার টাকা মেরে নিজ পকেটে রেখে দেয় । একটা ভিসা এপ্লিকেশনে দালালদের খুব অল্পই কাজ থাকে, তারা ফর্ম পূরণ করে দিবে আর তাদের কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করে দিতে পারবে । যারা দালাল ধরে বিদেশে গেছেন তারা জানেন, সব কাজ আপনাকে দিয়ে করাবে - আবার সব কাগজপত্র আপনিই জোগাড় করে দিবেন ওরা তেমন কিছুই করবে না । এখন এই কাজগুলা যদি নিজে করেন লক্ষ টাকা বেঁচে যাবে আপনার পরিবারের ।
দালালদের আদর করে অনেকে: এজেন্ট/কন্সাল্ট্যান্ট/এজেন্সি ইত্যাদি বলে ডাকেন
কেন লোকজন দালালের কাছে যায়?
বিদেশে যাবেন অথচ এখনো পাসপোর্ট করান নাই । করান নাই কারণ, পাসপোর্ট করানো খুব ঝামেলার কাজ কাউকে পাচ্ছেননা যে পাসপোর্ট করে দিবে । নিজেদের এই ভীতু মানসিকতা দালালদের আয়ের উৎস । তারপর আবার মনে মনে ধরেই নিয়েছেন বাবারে বাবা কানাডার ভিসা, আমি একা একা প্রসেস করতে পারবোনা ।
আরেকটা বিষয় হচ্ছে চটকদার বিজ্ঞাপন, "IELTS ছাড়া বিদেশে উচ্চশিক্ষা" । অনেকেই নিজেরা জানেন যে তাঁরা IELTS দিলে স্কোর করতে পারবেনা । এর জন্য চেষ্টা করে লেখাপড়াও করবেনা । বিজ্ঞাপন দেখে চলে গেলেন দালালের অফিসে, যেয়ে তো চোখ ছানাবড়া - দেয়ালে ঝুলানো শত শত বিদেশী সার্টিফিকেট । লক্ষ লক্ষ টাকার ডেকোরেশন দামি আসবাবপত্র মনে হয় যেনো ভিসা এখান থেকেই দেয় । আর দালাল সাহেব কোট-টাই পরে বল্লেন আপনি যেয়ে শপিং করেন, আমাদের কাছে আসছেন ভিসা আপনার হয়ে গেছে । আপনি মহা খুশি, কিছুদিন পর দেখলেন আপনার টাকা ২৫০০০ জলে গেছে ।
নতুন মুরগি (আপনাদের) দালালরা কিভাবে ধরে?
ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে, বিজ্ঞাপনে দেখা যায় পাসপোর্টে ভিসা লাগানো হাসি মুখের একজন বলতেছে "আবাল এজেন্সি" আমাকে ভিসা করে দিয়েছে আপনারাও নিঃসন্দেহে আসুন । আপনি মনে মনে বল্লেন "কানাডার ভিসা এদের দিয়ে প্রচুর হচ্চে দেখতেছি" আমিও যাই । আরেকটা অপশন হচ্ছে বিভিন্ন গ্রূপে যেমন এটাতেও দালাদের লোকজন আছে । আপনার প্রশ্নের উত্তর সমানে দিতে থাকবে, আপনি ইনবক্সে যাবেন দেখবেন এজেন্সির ঠিকানা দিতেছে । এদের থেকে দূরে থাকুন ভাই, টাকা কামানো খুব কষ্টের ভাই - বাবার কষ্টের টাকাটা ওদের দিয়ে খাওয়ায়েন না ।
দালালদের দিয়ে কি ভিসা হয়?
দালালরা যেইটা করে সেটা হচ্ছে সবারটাই বলে হবে । যেমন কেউ সিজিপিএ ২.২ IELTS ৫ নিয়ে গেলেও বলবে আপনারটা একটু কঠিন কিন্তু আমরা কাজ করলে ভিসা হয়ে যাবে । আর যার রেজাল্ট সিজিপিএ ৩.৬ IELTS ৭ তাকে বলবে আপনারটা একদম পানির মতো পরিষ্কার ভিসা পাচ্ছেন । ২ জনকেই কিন্তু নিল, ভিসা ২য় জনেরটা হইলেও প্রথম জনেরটা হবেনা আপনারাও বুঝে গেছেন । এইরকম ১০০ কাজ করলে ২/৪ টা ভিসা হয় । তখন ঐগুলা দেখায়া বিজ্ঞাপন দেয় । এরা নতুন কিছু লিখতে হলে নেট থেকে কপি করে, ভুয়া কাগজপত্র নীলক্ষেত থেকে বানায়া জমা দেয় । এই জন্যই এদের মাদ্ধমে ভিসা খুব কম হয়, কম বলতে না এর বরাবর ।
দালালদের আয়ের উৎস?
ফাইল ওপেনিং চার্জ, মানে আপনার ভিসা হোক বা না হোক ওই টাকা ওঁরা খাইছে । ধরেন ওদের এইটাই আয়ের প্রধান উৎস, আবার অনেকে গ্রামের ছাত্রদের থেকে কয়েকলাখ টাকা চান ভিসা না হলে ফেরত । পরে ভিসা না হলে ওই টাকা ৬ মাস বেংকে রাইখা প্রফিট খায়, অনেকদিন পেরেশান করে ওই টাকা ফেরত দেয় । এই চার্জ ওই চার্জ বলে টাকা কেটে রাখে । আরেকটা নতুন ধান্দা ভিসার পরে টাকা দিলেই হবে,
আপনি ওদের কাছে যাবেন আপনাকে বলবে, ভিসার পর টাকা দিবেন । আপনি ওদের সাথে একটা দলিলে স্বাক্ষর দিবেন, মানে ডিড করবেন যে পাসপোর্ট নম্বর এত ভিসা লাগার পর এতো টাকা দিবেন । আপনি ভাবলেন লোকটা কত ভালো, ভিসা না হইলে একটা টাকাও দিবো না আবার দলিল আছে । কিন্ত নাটকটার ক্লাইম্যাক্স এখানেই, একে একে আপনার পাসপোর্ট সহ সব অরিজিনাল কাগজ ওরা নিয়ে নিবে । পরে ভিসা না হইলে যখন এইগুলা আনতে যাবেন ঠিক তখনই আপনার ভিসা চেষ্টা করতে কোথায় কত খরচ হৈছে সব আপনাকে ধরায়া দিবে, কি আর করবেন ১৫-২০ হাজার দিয়া কাগজ ছাড়ায়া আনবেন ।
অফার লেটার বাণিজ্য:
দালালদের জানা থাকে কোথায় আবেদন করলে সহজে অফার লেটার পাওয়া যায় । আপনাকে অফার লেটার এনে দিলেই আপনি ভাবলেন আমার ভিসা ঠেকায় কে! কিন্তু অফার পাওয়া মানেই ভিসা হয়ে এমনটা নয় । দালালরা ভিসা না হলে বলে, আপনার জন্য অনেক চেষ্টা করছি ভাই । অফার লেটার আনছি, ভিসা হয় নাই সেটা আপনার বেড লাক আর ভিসা তো এম্বাসির বেপার।
দালাদের কমন ঠাডা মিথ্যা কথা এবং অভিনয়:
আমাদের কাছে আসছেন ভিসা হবেই।
আমাদের এম্বেসীতে লোক আছে, আমাদের ফাইল দিলেই ভিসা।
আগে ৫০০ ভিসা করছি কানাডার।
কানাডাতে যাওয়ার পর আমরা পার্ট-টাইম কাজ ম্যানেজ করে দিবো।
আপনাকে একদম এয়ারপোর্ট থেকে নিয়ে বাসায় উঠায়া দিয়া আসবো।
ওদের দেয়ালে অনেক সার্টিফিকেট থাকবে, ডেস্কে বেশ কয়েকটা পাসপোর্ট আর IELTS সার্টিফিকেট রাখা থাকবে।
কিছুক্ষন পর পর ওদের ফোন আসবে "বস ভিসা হৈছে গুড নিউজ" এইরকম কথা বলবে। "বস"
অফার লেটার পাওয়ার পর ভিসা না হইলে কিছু করার নাই । ভিসা এম্বাসির বেপার।
---------------------------------------------------------------------------------------------------
This portion is written by Shishir Hossain.
Original Article Link: https://www.facebook.com/groups/BSAAC/permalink/2193153634056528/
এই এজেন্সি বা দালাল গুলোকে স্থায়ি ভাবে বন্ধ করে দেওয়ার কোনো প্রক্রিয়া কি আছে?
ব্যাঙ এর ছাতার মত প্রতি এলাকায় এলাকায় গড়ে উঠেছে এই দালাল দের অফিস। যাদের সবাই মানুষকে মুখের কথা দিয়ে বুঝিয়ে টাকা লুফিয়ে নিচ্ছে (আদৌ কেও কি ঠিক কাজ করছে কিনা যানা নেই)।
আমাদের অনেক এর সপ্ন কানাডা যাওয়া। Obviously কারন টা সবাই জানি। কিন্তু অনেকেই আছে যারা যানেনা কিভাবে University গুলোতে apply করতে হবে এবং কিভাবে file রেডি করতে হবে, হয়তো এমন মানুষের সংখা কম কিন্তু আছে। আবার অনেকে সব জানার পরেও এবং ভালো result থাকার পরেও যথেস্ট ব্যাংক support না থাকার কারনে apply করতে পারছে না। এমন অনেকেই দালাল দের অনেক অফার ও বিভিন্ন প্যাকেজ এর আকর্ষণীয় বিভিন্ন অফার এর ফাদে পরছে।
এবার আসি আসল কথায়- Last December আমার এক ছোট ভাই এমনি এক এজেন্সির খপ্পরে পরে। তার ssc/hsc দুইটাতেই cgpa 5, IELTS-6. কিন্তু তার বাবার বাংক এ দেখানোর মত যথেস্ট টাকা ছিলো না। আমরা অনেকই বলেছি, bachelor টা আগে শেষ কর অথবা যেতে চাইলে Germany তে চেষ্টা কর। কিন্তু এক দালাল চক্র তাকে আশা দেয়, তাদের যথেষ্ট টাকা দিলে তারা তার বাবার account এ ৪০ লক্ষ্য টাকা দেখাবে। যার জন্যে তাকে ৩০,০০০/- অতিরিক্ত টাকা দেওয়া লাগবে। সেই নাসরবান্দা দালাল এর কথায় রাজি হয়ে অবশেষে ৩১ ডিসেম্বর কানাডার জন্যে VFS এ ফাইল জমা দেয়। এমনকি GCKey তেও তাকে login করতে দেয় না। আজ তার ফাইল ফেরত আসছে, সাথে ৫ বছর এর জন্য তাকে ব্যান করে দেয়া হয়েছে। কারন, তার কাছ থেকে অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা নিয়ে নীলখেত এর মত কোন এক জায়গা থেকে এই ব্যাংক statement বানানো হয়েছে। Passport & refusal letter হাতে পাওয়ার পর তাদের ফোন দিয়ে এই কারন জিজ্ঞেস করলে তারা বল্লো, এতে আমাদের কোনো দোষ নাই। তোমার কানাডা যাওয়ার সামরথ নাই। তোমার বাপের যথেষ্ট টাকা নাই, তুমি কিভাবে যাবা। এখন ব্যান করলে আমাদের কিছু করার নাই। আমরা এভাবেই কাজ করি। এই এজেন্সি গুলো ঠিক এভাবে অনেকের সপ্ন ভাংগার পাশাপাশি বাইরের দেশগুলোতে আমাদের দেশ এর নাম খারাপ করছে।
-------------------------------------------------------------------------------------------------------
This portion is written by Rakib Hussain, Master of Arts in Communications, Mount Saint Vincent University.
Original post link: https://www.facebook.com/groups/BSAAC/permalink/1606236509414913
Dream via Dalal vs Reality
প্রায় চারমাস পরে একটা পোস্ট করতেসি, লাস্ট করসিলাম ভিসা হবার পরে। একচুয়ালি পোস্ট করতে মন চায় না, জাস্ট লিখতেসি কিছু হতবুদ্ধি গোয়ালের বাসিন্দাদের জন্যে যারা একচুয়ালি মনে করে কানাডা আসা এক্কেবারে ইজি আর শেষ বেলায় এজেন্টের পাল্লায় পড়ে কান্নাকাটি করে!
ফার্স্ট, এজেন্ট/দালাল যাই বলুক না কেন, আপনি যদি আইইএলটিএস এ সাড়ে ছয় মিনিমাম স্কোর করতে না পারেন আপনি একটা লুজার (এইখানে অনেকের অনুভুতিতে আঘাত লাগবে, প্লীজ একটু সামনে পড়ে নেন)। কথাটা তিতা লাগতেসে বাট সত্যি। ভাবেন তো? ১২ বছর স্কুলে ইংলিশ পড়সেন, কেউ কেউ চারবছর ভার্সিটিতে ইংলিশে পড়াশুনা করসেন। অতীতে হয়ত জিনিসটা টাফ ছিল। কিন্তু এখন টন টন টরেন্ট আর নেটের কল্যানে ইংলিশ ম্যাগাজিন, মুভি, টিভি সিরিজ, আইইএলটিস টিউটোরিয়াল এভেইলেবল। তারপরেও মিনিমাম সাড়ে ছয় তুলতে পারেন নাই, লুজার বলব না তো কি বলব?! ভাবেন তো, এইচএসসি পাশ করা পোলাপান সাত সাড়ে সাত, আট তুলে বসে থাকে। মানলাম অনেকে ঐরকম সেটিং এ বড় হয়, কিন্তু তাই বলে কি সাড়ে ছয় তোলা সম্ভব না?!!
এই যদি হয় হেডম তাইলে ভাই কানাডা আপনার জায়গা না। (যদি না আপনার ফ্যামিলির কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা থাকে)। আগে স্কোর তুলেন তারপরে উচ্চশিক্ষার কথা ভাবেন! স্কোর সাত থাকলে আপনার জন্যে সব কয়টা ইউনিভার্সিটির দরজা খোলা। সাড়ে ছয় থাকলে মিড ক্লাস ইউনিভার্সিটি আর এর নিচে থাকলে আবার পরীক্ষা দেন!
সেকেন্ড, আপনার কিসের এত তাড়া যে দালালের কাছ থেকে ২/৩ সপ্তাহে অফার লেটার আনতে হবে? এই গ্রুপে এমনো মানুষ আছে যারা কানাডায়ই পড়বে এইজন্যে ডেস্পারেট ছিল কিন্তু ঠান্ডা মাথায় প্ল্যান করে করে এপ্লাই করসে। আমি নিজে ২০১৩ থেকে প্ল্যান করসি যে গ্রাজুয়েশান করে বাইরে যাব। ২০১৫ তে আইইএলটিএস দিসি তাও জব করা অবস্থায়। ২০১৬ এর জানুয়ারিতে এপ্লাই করসি, প্রথমবার ট্রান্সক্রিপ্ট এভালুয়েশান (ওয়েস) করি নাই দেখে অ্যাডমিশান হয় নাই। জিদ করে ২০১৬ সাল পুরাটা ধুমায়ে কাজ করে করে প্রফাইল আরো স্ট্রং করসি। ২০১৭ সালে আবার সেইম প্রফেসরকে নক দিসি, এইবার অ্যাডমিশান হইসে। তারপরে গ্রুপের হেল্প নিয়ে নিজে পেপার রেডি করে এপ্লাই করসি। আজকে ইউনিভার্সিটিতে এসে কান্নাকাটি করতেসি পড়াশুনার প্রেসারে! টোটাল খরচ গেসে ৩০ হাজার দুইবার এপ্লাই করতে কুরিয়ার কস্ট সহ! আমি এমন মানূষও চিনি যিনি চারবছর ওয়েট করসেন ফুলফান্ডিং এর জন্যে! চারটা বছর বুকে আশা নিয়ে ছিলেন, সেই রিওয়ার্ডও পাইসেন।
আর আপনি আইসেন দালাল ভাইসাবরে ২০ হাজার টেকা দিবেন, সে আপনেরে দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি অফ কানাডা থেকে অফার লেটার দিবে আর আপনি কানাডায় পড়তে যাবেন স্ট্যাটাস দিয়ে ফেইসবুকে ফুটেজ খাবেন?! ভাই, এতই সোজা??!?! এত সোজা হইলে সবাই এত কষ্ট করে কেন আসছি? প্লীজ বইলেন না আমরা বোকাসোকা! আমরা মোটেও সেইটা না! আমরা জাস্ট লাইগা ছিলাম সোজা ওয়েতে। ইহদিনাস সিরাতুল মুস্তাকিম!
থার্ড, আপনার বাবা মা'র টাকা অনেক বেশি থাকতেই পারে, কিন্তু সেইগুলা তাদের হার্ড আর্ণড মানি (কয়চারজন বাদে, যাদের একচুয়ালি এই গ্রুপের দরকারও নাই)! আপনি আইসিএম/ইংলিশ ফাউন্ডেশান কোর্স করতে স্পেন্ড করবেন ৬ হাজার ডলার (চার লাখ টাকা)। একটু কষ্ট করে পড়লে কিন্তু আইইএলটিএস এ সাড়ে ছয় তোলা বেপারই না। সাতও খুবই সম্ভব। কিন্তু তা না করে, জাস্ট কারণ আপনার খুব জলদি ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিতে হবে আর বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজনের কাছে হিরো হইতে হবে এইজন্যে বাপমার টাকা পয়সা জলে দিতেসেন, জিনিসটা খুব খারাপ!
ফোর্থ, এজেন্টরে ভিসা প্রসেসের টাকা কেন দিবেন? ওই বেটারা কি আপনার কাগজ নোটারি করবে? আপনার অফিস থেকে রেকমেন্ডেশান লেটার আনবে? আপনার ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট এনে দিবে? আপনার কাগজপত্র প্রিপেয়ার করবে?
আমি নিজে গুলশানের এক এজেন্সিতে গেসিলাম মজা নিতে। তারা আমাকে কনফিডেন্টলি বলল এইটা এইটা এইটা করেন, আপনার ভিসা কনফার্ম। ৫ লাখ টাকার কন্ট্রাক্ট, পঞ্চাশ হাজার আগে দিয়েন, বাকিটা ভিসা হইলে! আমরা এমব্যাসিতে কিছু কনসাল্টেন্সি করে দিবনে!!
ভাইরে, তারা জাস্ট আমার কাগজগুলা নিয়ে সাজায়ে এইটারে উপরে অইটারে নিচে করে দিত। আর দুইটা ফর্ম ফিলয়াপ করে দিত। গ্রুপে ওই ফর্ম আপনিই ফিলয়াপ করতে পারবেন। আর ভিএফএস এ গেলে ওরাই আপনার কাগজ সাজায়ে দিবে! এখন চিন্তা করেন, আপনার টাকা কি গাবায়!?!?!? বেশি গাবাইলে যাইতে পারেন, কিন্তু মিডল ক্লাস হইলে আমি বলব প্লীজ ভাই/বোনেরা, টাকা নষ্ট কইরেন না। ২০০৯ সালে এক এজেন্ট রে এনকাউন্টার করসিল আমার বাপ আমারে না জানায়ে। ওরা বলসিল খুব কম টীউশানে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি করায়ে দিবে প্লাস স্কলারশিপ, ওদের আট লাখ টাকা দিতে হবে! আমি জাস্ট উনারে টাকা দিতে দেই নাই কোনভাবেই, কারণ আমি নেটে দেখসিলাম যেই এইটা ইম্পসিবল। দুইমাস পরে জানতে পারি ঐ এজেন্ট প্রায় দুই/তিন কোটি টাকা এইভাবে নিয়ে উড়াল দিসে!!!! একটু ভাবেন!!!
সব কথার শেষ কথাঃ
কানাডায় পড়তে আসা অনেক বড় স্বপ্ন। বড় স্বপ্ন দেখলে বড় কাজ করতে হয়। আইইএলটিএস এ সাড়ে পাঁচের কাথায় শুয়ে কানাডার স্বপ্ন দেখলে হবে না। ফেইসবুকে মোটিভেশনা পোস্ট শেয়ার করা কানাডার ইউনিভার্সিটিতে অ্যাডমিশান আর ভিসার রিকোয়্যারমেন্ট না!
বলতে পারেন আপনারা পাইসেন দেখে বলতেসেন, আজকে আমার স্কোর নাই আর টাকা নাই দেখে কি আমি কানাডায় আসব না? উত্তর হইসে, যদি আপনার টাকা না থাকে ট্যালেন্ট লাগায়ে "পড়তে" আসেন। টাকা থাকলে আইইএলটিএস এ মিনিমাম স্কোর তুলে আসেন।
একটা ভালো স্কোর তুলতে ডেডিকেশান, এফোর্ট আর কনসেন্ট্রেশান লাগে, আইকিউ না! ইউটিউবে লিসেনিং, ডেইলি স্টার আর অনলাইনে ব্লগে রীডিং, খান'স রাইটিং বইটা রাইটিং এ আর ভাল ভাল সিরিজ দেখেন স্পীকিং এ ফ্লুয়েন্সি আনার জন্যে। দরকার হইলে এক্সট্রা ১০ হাজার দিয়ে কোচিং করেন। কিন্তু আইইএলটিএস দেন প্লীজ। আপনার ভালর জন্যেই বলা।
জাস্ট একটা স্কোর তুলে আসেন, গ্রুপে পোস্ট দেন। দেখেন সবাই কেমনে ঝাঁপায়ে পড়তেসে আপনার সাবজেক্ট সিলেকশান, ইউনিভার্সিটি চয়েস, ভিসা প্রসেস নিয়ে! বাই দ্য ওয়ে, এইখানের আমরা ছোটখাট মানুষ থেকে শুরু করে পিএইচডি করা বড়ভাই, কেউই একটা টাকাও নেই না! আপনি যদি ডেডিকেটেড থাকেন আর কষ্ট করতে রাজি থাকেন, এই গ্রুপ আপনারে সব সাপোর্ট দিবে!
বেস্ট অফ লাক! ওভার এন্ড আউট!
---------------------------------------------------------------------------------------------------------
This portion is written by S M Wahidun Nabi, current student, BCIT.
অমুক কুদ্দুসের ভিসা হয়েছে আমাদের মাধ্যমে, আপনি কই ??
লিখবো কি লিখবোনা করতে করতে সিদ্দান্ত নিলাম লিখেই ফেলি, অনেকের কাজে আসবে। আজকের বিষয় এজেন্সি নিয়ে, এই লিখায় কোনো এজেন্সির নাম বলা হবেনা
গ্রূপে আজকে আছি ৪ বছর , ২০১৩ সালে খালাতো ভাই যাবে কানাডায় ওই কারণে জয়েন করেছিলাম। ও বাংলাদেশ তথাকথিত এক এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ যায় যদিও তার ভিসা পাওয়ার পিছনে অন্যতম কারণ ছিল তার বাবার ভেলিড টেক্স পেইড **** লক্ষ টাকা। আমার মনে হয় ও ফটোগ্রাফি করতে গেলেও ওকে ভিসা দিত। তখন থেকেই আমি খুব কাছ থেকে বাংলদেশের সব গুলো এজেন্সিকে খুব ভালো করে দেখেছি কারণ ও আমাকে নিয়ে নিয়ে অনেক এজেন্সিতে গিয়েছিলো, আবার ২০১১ সালে যখন পড়াশুনা শেষ করি তখন আমি নিজেও অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য কিছু এজেন্সিকে হুদাই ফোন দিয়ে পেইন দিতাম।
সেই ১৯৭১ থেকে দেশে সবচেয়ে বড় যে ব্যবসা হয় সেটা হলো" ইনফর্মেশন" , যার কাছে যত ইনফরমেশন সে তত বেশি ঝানু পাবলিক এবং আমজনতা এই ইনফরমেশন না জানার কারণে অনেক ধান্দাবাজিতে পা দিয়েছে এবং দিয়েই যাচ্ছে এবং দিয়ে যাবে।
একটা সময় ছিল মানুষ কিছুই জানতোনা বুঝতোনা , ফাইল ওপেনিং ১০ হাজার , ভিসা পেলে ৫০ হাজার এই ছিল এজেন্সিদের মূল ধান্দাবাজি। কিন্তু তাতেও অনেকের প্রব্লেম ছিলোনা। ভিসা পাওয়া দিয়ে কথা। ধীরে ধীরে এরা এখন সন্ত্রাসীতে রূপান্তরিত হয়েছে , আগে ভিসা পেয়েছে এরকম লোভ দেখায়ে আজে বাজে কোর্স , ভিসা হবেনা জানা সত্ত্বেও ফাইল প্রসেসিং করতো টাকার জন্য। এটার ভয়াভহ রূপ ধারণ করেছে বিগত ২ বছরে, নতুন ডাকাত এসেছে মার্কেটে তারা তাদের অফিসে কানাডায় তাদের বিভিন্ন সেমিনারের ছবি আছে এরকম দেখায় , ভুজুং ভাজুং দিয়ে , জাস্টিন ট্রুডো আমাদের আব্বা এইরকম বলে নতুন এক ব্যবসা এঁটেছে সেটা হলো ৬ লক্ষ টাকা দিবেন , বাসায় ঘুমাবেন , এয়ারবাস A৩৮০ বাসায় এসে নিয়ে যাবে এরকম ধামাকা অফার। এরকম সেইম অফার আমার শুনা গল্প না, আমার এক পরিচিত বোনকে নিয়েই আমি গিয়েছিলাম , বোন নিজেই মেধাবী , প্রোফাইল ভালো , তাকেও এরকম অফার দেওয়া হয় আমার নিজের সামনেই, আমার মাথায় আগুন ধরে যায়, এই বোনের ভিসা এমনিতেই হবে , যাইহোক সেই প্রসেসে বোন যায় নাই আর , আল্লাহর রহমতে ও এখন কানাডায়, জব করে। ভালো আছে।
এইবার আপনাকে ধান্দাবাজিটা বুঝায় বলি, তাদের কাছে যেই ইনফরমেশন আছে , সেইম ইনফরমেশন এই গ্রূপেও আছে, আমারতো মাঝে মাঝে মনে হয় এই গ্রূপের মতো বিভিন্ন গ্রূপের ফাইল তারা প্রিন্ট করে ব্রুশিয়ার হিসেবে চালায় দে। ট্রাস্ট মি , তাদের কাছে সামান্য বেশি ইনফরমেশন নাই যেটা আপনি এই গরূপে পাবেন না। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো এইখানে সবি ফ্রি, যেখানে সব ফ্রি ঐখানে লোকজন ধান্দাবাজি আইডিয়া দিবেনা। এজেন্সি আপনাকে ফেইক ব্যাংক বেলেন্স, স্পনসর, অনেক ধানবাজি শিখাবে বাট মনে রাইখেন একবার ধরা খেলে ৫ বছরের জন্য ব্যান খেয়ে যাবেন। তো যেটা বলছিলাম ধান্দাবাজিটা কোথায়, আপনি নিজের জোগ্যতায় ভিসা পাবেন ওর ল্যাব পুরা ৬ লক্ষ্য টাকা। এরকম ২০ জন থেকে নিলে ১ কোটি ২০ লক্ষ্য টাকা। ভিসা না হলেও প্রব্লেম নাই, টাকা ঘুরায়ে ঘুরায়ে বছর শেষে পাবেন , কিন্তু ব্যাংক এ অনেকদিন থাকবে সুদ পাবে সে , কোনদিকেই কোনো লস নাই
আপনাকে এজেন্সিতে যেতে কেউ মানা করে নাই কিন্তু নিজেই যদি না জানেন নিজের সম্পর্কে, নিজেই যদি না জানেন প্রসেসিং কিভাবে কি তাহলে যেইখানেই যাবেন ধরা খাবে , ওরা তাদেরকেই টার্গেট করে যারা ESL এ যেতে চায়, ব্যাঙ্ক বেলেন্স এ সমস্যা অথবা অনেক বেশি ব্যাংক বেলেন্স অথবা ডুকমেন্টস এ সমস্যা অথবা একদম পারফেক্ট ডকুমেন্টস। যাদের সব পারফেক্ট তাদেরকে ধরে মজা কারণ জানে ভিসা হবেই মাঝখান দিয়ে ৬ লক্ষ টাকা লাভ তাদের মাঝে মাঝে ঝড়ে বক মরে এবং ফকিরের কেরামতি জাহির হয় টাইপ কিছু ভিসা পায় এবং সেটা ১০০ ডলার দিয়ে সেই ছেলের ছবি ফেসবুকে ছারে
শেষ করছি আমি, এখন আমরা সবাই অনেক এডভান্স, কিন্তু সেটা কাজের বেলায় না,অকাজের বেলায়, ভার্সিটি তে যাদেরকেই চিনতাম দোস্ত এসাইনমেন্ট তা মেইল কর, দোস্ত প্রেসেন্টেশনে কিছু পারিনা তুই বানা এরাই একসময় SOP নিজে লিখতে পারেনা, এরাই গরূপে কিছু না পরেই আমি কি ভিসা পাবো প্রশ্ন করে , এবং পরে এজেন্সিতে দোড়ায়
সব ফাইল পড়ুন, ভার্সিটি ঘাটুন, রেকোয়ার্মেন্টস দেখুন, মেইল করুন। ১০০ টা প্রশ্ন করুন , নিজেই ১ মাসে বুঝে যাবেন কিভাবে কি. এজেন্সিদের কোনো ভাবেই আমরা আটকাতে পারবোনা কিন্তু একবার নিজে knowledgeable হয়ে তারপর একটা এজেন্সিকে প্রশ্ন করুন দেখবেন তথমত খেয়ে যাবে। তারাও জানে আমাদের বিভিন্ন গ্রূপের কথা তাই তারা কিছুদিন আগে ফেসবুকে একটা পেইড পোস্ট দেয় একদম এভাবে "অনেকেই নিজেরা নিজেরা এডমিশন নিয়ে ফেলেছেন " আর ভুল না করে , আর বিভিন্ন গ্রূপের কাছে হাত না পেতে আজি আসুন আমাদের অফিসে, " একবার ভিসা টাইমলাইন দেখেন গ্রূপের, নিজেই বুঝবেন কতজন নিজেই দাড়ায়ে ভিসা পেয়েছে।
আরেকটা লাস্ট ওয়ার্নিং দেই , ভিসা পাওয়ার পরেও এম্বাসি এখন ভিসার পরেও ইনকোয়ারি করে , যদি না মিলে কিছু মামলাও খেয়ে যাবেন আর আজীবন নর্থ আমেরিকার মুখ দেখতে হবেনা। কানাডায় ইমিগ্রেশন থেকেও ফেরত আসবেন
সো নো ধান্দাবাজি এবং ফেইক ডকুমেন্টস প্লিজ
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
This portion is written by Umme Tasnim Peuly
দালাল/ কন্সাল্টেন্সি ফার্ম/ এজেন্সি বৃত্তান্ত
এই গ্রুপে জয়েন করা আমার ভিসা application করার দুই দিন আগে। এরপর অনেক পোস্ট, কমেন্টে দেখলাম যে দালাল সম্পর্কিত কথা বলা যাবে না। কেন বলা যাবে না তার একটা নমুনা আমি নিজে।
ওদের কাছে আমি যাই আগস্টে।
যাওয়ার পর যা ঘটল: ২০ হাজার টাকা নিয়ে অ্যাপ্লাই করল ইউনিভার্সিটিতে। অফার লেটার পাওয়ার পর উনারা একটা একটা করে ডকুমেন্টের কথা বলে আর জমা নেয়। একেবারে কখনই বলে না কি কি লাগবে। এমনিতেই আমার ব্যাংক স্টেটমেন্টের জন্য এক মাস পিছিয়ে ছিলাম। তাদের এই চক্রে পড়ে পিছিয়ে গেলাম দুই মাস। এর মধ্যে ৪০ হাজার টাকা নেওয়া শেষ তাদের।
অবশেষে নভেম্বরে ফাইল জমা দিলাম VFS এ। তারা আবার কায়দা করে রিসিট নিয়ে নিল। মেইন ধরা এখানেই খাওয়া। আমার ই-মেইল আইডি, পাসওয়ার্ড দিয়ে তারা ইউনিভার্সিটিতে অ্যাপ্লাই করেছিল যেটা আমাকে আর দেয় না তারা। আমি GC key তে account ও করতে পারি না। Application এর কি হাল জানারও কোনো উপায় নাই আমার।
১৮ দিন পর মেডিক্যাল করালাম যেটার রিসিট তারা চেয়েছিল, কিন্তু আমি আর যাই নাই ওদের কাছে। এরপর আমি ট্র্যাক করে মেডিক্যালের হালচাল দেখতে চাইলে তারা "আপসেট" হয়ে যায়। আমার নাকি তখন টেনশন ফ্রি হয়ে বসে থাকা উচিত।
৯ দিন পর আসল পাসপোর্ট কল। তারা যে আবার টাকা চাবে ভিসা হলে আমি জানতাম। কিন্তু amount নিয়ে কথা হয় নাই কখনো। তাদের brochure-এ এক জায়গায় লিখা ছিল ৬০৫০০ টাকার কথা। কিন্তু ঐদিন আমি জিজ্ঞেস করায় এক লাখ চেয়ে বসল।
আমি তো ৬০০০০, এক লাখ কি! একটাও দিতে রাজি না তাদের। কয়েকবার মাউসে ক্লিক করে মেইল দেখার জন্য আমি ওদের এক লাখ টাকা দিতে পারি না। তারা কোনো কাজ করে নাই, তো আমি কেন দিব এত টাকা তাদের? তাদের কাছে কোনো উত্তর নাই। বারবার একটা কথাই বলে গেল "ভিসা হয়ে গেলে আমরা সবার কাছ থেকেই এক লাখ টাকা নিয়ে থাকি।" মামা বাড়ির আবদার! আমার মাথায় তখন ডিম ভাজা যাবে। রাগে মাকে বললাম কোত্থেকে টাকা দিবা জানি না, আমার আলাদা করা টাকার মধ্যে থেকে আমি দিতে দিব না। এটা ওদের সামনে বলাটা বোকামি ছাড়া কিছু না।
এরপর তারা আমাকে পাসপোর্ট কল এর ই-মেইল কপি হাতে ধরায় দিয়ে বলে VFS এ পাসপোর্ট দিয়ে আসতে। যখন অনেক দূর চলে গেসি, কল দিয়ে বলে একটা ডকুমেন্ট বাকি ওইটা নিয়ে আসতে। গেলাম। আমার কাছ থেকে ই-মেইল কপিটা নিয়ে দিল অন্য একটা কপি, যেখানে ২টা নাম্বার ছিল। সুন্দর মত একটা নাম্বার এ মার্কার দিয়ে মার্ক করে বলল এইটা বললেই হবে VFS এ। আমার তখন খটকা লেগে গেসে। আমি আম্মা আব্বার জন্য কিছু বলতেও পারি না, ওইদিকে VFS এর জন্য দেরি হয়ে যাচ্ছে। গেলাম VFS। জমা দেওয়ার সময় বলল ওইটা দিয়ে হবে না, passport কলের ই-মেইল কপি লাগবে। ওইদিকে যে রিসিট লাগবে, ওইটাও তারা দেয় নাই আমাকে। রাগে দুঃখে কল দিলাম ওদের। উনাদের হেড তখন মহাব্যস্ত, কথা বলার সময় নাই। গেলাম আবার তাদের অফিসে। বললাম ভুল কপি দিসেন আমাকে, আগেরটা দেন। সে এখন পারদর্শি অভিনেতা। কি সুন্দর করে বলতেসে "তুমি আজকে গেস জমা দিতে! আমি তো আজকে যেতে বলি নাই। আমি তো আন্টিকে বললাম পেমেন্ট ক্লিয়ার করে তারপর যেতে। তখন আমি মেইলের কপি দিব।" আগে একটাবারও সে এটা বলে নাই। অথচ বারবার বলতে থাকল এটা। সে এখন আমার সাথে কথা বলে না। আম্মার সাথে পেমেন্ট নিয়ে কথা শুরু তার।
আমি আব্বা আম্মার সাথে রাগারাগি করেও কুল পাচ্ছি না যে কেন গেসিল ওখানে! বাসায় আসার সময় ভাবলাম কিভাবে কি করা যায় ওদের এটা থেকে বাঁচতে। আমার আব্বা আম্মা আমাকে কিছুই করতে দিবে না। এমন না যে তাদের টাকা গাছে ধরে, আর বড়লোক তো মোটেই না তারা। অথচ তারা টাকা দিতে দুই পায়ে খাঁড়া। কোনো ভাবেই বুঝাতে পারি না যে ওদের আমি কেন টাকা দিতে চাচ্ছি না।
পরের দিন আবার আম্মার জোড়াজুড়িতে গেলাম। আম্মা ভেবেছিল চেক দিবে ২ সপ্তাহ পরের যেন ভিসা হওয়ার আগে ওরা টাকা না তুলতে পারে। কিন্তু তারা ক্যাশ ছাড়া নিবেই না। এক লাখের জায়গায় ৯০ হাজার নিবে বলল। এখন টাকার হিসাব করার সময় তাদের যে হিসাব দেওয়া ছিল মা ওইটা দেখায়। তখন আমি বলি যে ওইখানে ৬০৫০০ টাকার হিসাবটা কীভাবে আসল! তারা ম্যাথ-এ দুর্বল নাকি! সে আমাকে হিসাব করে দেখাচ্ছে যে ৬৪৫০০ হয়। ম্যাথ-এ দুর্বল বলায় জায়গা মত লেগে গেসে তার। সে এখন এক লাখই নিবে। আম্মা ব্যাংক থেকে পরে টাকা এনে দিল তাদের। তারপর তারা আমাকে মেইল আইডি, পাসওয়ার্ড ছাড়া সব দিল। তারা কোনো ভাবেই আমাকে এগুলা দিবে না যে পর্যন্ত আমি স্টুডেন্ট আইডি করে টাকা না পাঠাই ইউনিভার্সিটিতে। কারণ এখনো টাকা খাওয়া বাকি তাদের। ইউনিভার্সিটিতে যখন দেখাবে আমি ওদের মাধ্যমে গেসি, ওখান থেকে কিছু তো পাবেই ওরা। একটা ব্যাংকের কার্ড দিল আমাকে ওরা। ওদের অফিস থেকে বের হয়েই কল করলাম। মহিলাটা আমাকে প্রথমেই জিজ্ঞেস করল কোনো এজেন্টের মাধ্যমে করতেছি কিনা। কারণ এইখান থেকেও টাকা খাবে দালালগুলা।
এদের টাকা খাওয়ার একটা না একটা উপায় থাকবেই। এর মধ্যে যে হয়রানিগুলা করল আমাকে আর আমার পরিবারকে, এর জন্যে নির্লজ্জের মত আবার সরি ও বলসে। আমার পক্ষে সম্ভব হলে ওদের অফিসটায় আগুন ধরায়ে দিয়ে আসতাম। এখনো passport হাতে পাওয়া বাকি আমার। আম্মা আব্বা এখনো খুব ভয়ে আছে যে আমি কিছু করলে যদি কোনো সমস্যা করে ওরা! এমন অভিভাবক নিয়ে না একূল থাকে না অকূল। দোষ যে আমার নাই তা না, আমি রাজি করাতে পারি নাই উনাদের কোনো ভাবেই।
হাস্যকর ব্যাপার হচ্ছে আজকে যখন গেলাম ওদের অফিসে, একটা আন্টি টাকা দিচ্ছিল উনাদের আর বলতেসিল, "রিসিট না দিলেও সমস্যা নাই।" কীভাবে বিশ্বাস করে এদেরকে মানুষ! আর এটার ফায়দা নেয় দালালগুলা।
কেন গিয়েছিলাম আমি: বাসায় মনোমালিন্য হওয়ায় আম্মা আব্বা না বলে চলে গেসে তাদের কাছে, বাধ্য মেয়ের মত আমারও যাওয়া লাগলো।
আপনি কেন যাবেন দালালের কাছে:
১. আমার মত ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা হলে।
২. টাকার গাছ থাকলে।
৩. অযথা কোনো না কোনো ভাবে হয়রান হতে চাইলে।
৪. মিথ্যা আশা নিয়ে ওদের ভরসায় বসে থাকতে চাইলে।
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
This portion is written by Md Ariful Islam
যারা বিদেশ যাবেন শুধু তাদের জন্য, প্রতারনার চক্র হইতে সাবধান।।
"বিদেশ যাবো" যারাই নামটি উচ্চারন করবেন তারা কম বেশি সবাই দালাল নামক শব্দের সাথে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে জরিত হয়ে পড়েন।
(প্রথম ধাক্কা পাসপোর্ট তৈরি করার সময় দালালদের সাথে).................
বিদেশ যেতে প্রথমেই ধাক্কা খেতে হয় পাসপোর্টের দালালদের সাথে, এজন্যই আমরা নিজেরাই দায়ী কারন গাছ আপনার ফল খায় রাস্তার লোক, দোষটি কাকে দিবেন ? যদি আপনি ইন্টারনেট বা তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে না বোঝেন বা না জানেন যারা আপনার প্রতিবেশি, যারা আপনার নিকট আত্বতীয়, যারা আপনার বন্ধু-বান্ধবী, যারা আপনার একান্ত শুভাকাঙ্ক্ষী, তাদের সাথে পরামর্শ করুন Google এ সার্চ করুনঃ "পাসপোর্ট করার নিয়মাবলী 2018 " লিখুন এবং যেনে নিন কিভাবে পাসপোর্ট করবেন, দালাল মুক্ত না হলেও দালাল যুক্ত থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারবেন আশা করি
{যারা বলেন সকল টাকা ভিসা হওয়ার পর অথবা নিদিষ্ট স্থানে পৌছানোর পর}
ধরে নিন আপনি কানাডায় বডি কন্ট্রাক্ট বাংলাদেশী টাকায় ১৪ লক্ষ টাকা দিয়ে যাবেন, বাংলাদেশ থেকে দুবাই সেখানে দুদিন থাকতে হবে তারপর কানাডার কোন এয়ারলান্সে উঠলেন, ইমিগ্রেশনে গিয়ে হাত উচু করে দাড়িয়ে রইলেন, সেখানে একজন কানাডিয়ান এডভোকেট দাড়িয়ে আছে তাকে ৩০০০ কানাডিয়ান ডলার দিলে ইমিগ্রেশন থেকে ছাড়া পাবেন, এবার পৌছে গেলেন অনায়াসে বাংলাদেশে থাকা সেই দালাল যাদের সাথে ১৪ লাখ টাকা বডি কন্ট্রাক্ট হয়েছিল তাদের লোকদের হাতে বাংলাদেশে থাকা পিতা-মাতার কাছে ফোন আসলো (ছেলে) মা-বাবা আমি আল্লাহ্ পাকের অশেষ রহমতে কানাডায় পৌছে গেছি আমার দালালকে টাকাগুলো পরিশোধ করে দাও, ফোন কেটে গেল পিতা-মাতার দুঃখ-কস্ট যেনো দূর হয়ে গেল, দালালদের কথা মতন বাকি থাকা ১৪ লাখ টাকা পরিশোধ করে দিল। ৩ ঘন্টা পর পিতা-মাতার মোবাইলে আরেকটি ফোন আসলো কানাডার কোড নম্বর দিয়ে তবে নম্বরটি ছিল Onlina এর মা ধরলেন (ছেলে) মোবাইলের অপর পাশ থেকে চিৎকার করে বলছে মা আমাকে বাচাও মা আমাকে মেরে ফেললো, মা জোরে জোরে কাদছে কী হয়েছে খোকা, ছেলেটি বলছে মা আমাকে কানাডিয়ান মাফিয়া চক্র ধরেছে তারা দাবী করছে বাংলাদেশি টাকায় যদি ৫ লক্ষ টাকা না দেই তবে আমাকে মেরে ফেলবে, পিতা-মাতা দুজনি ঝর ঝর করে কাদছে আর শান্তনা দিচ্ছে বাবা তুই কোন চিন্তা করিস্ না আমরা টাকা পাঠাচ্ছি, কিন্তুু চরম সত্য হলো এটাই যে পিতা-মাতা সন্তান সবাই ভালো করেই জানে সকল জায়গা-জমি, গহনা বিক্রি করে ছেলের ১৪ লাখ টাকা দিয়ে সপ্নের দেশ কানাডায় পাঠিয়েছে ভাগ্যে বদলের জন্যে, দুই-চারদিন যখন হয়ে গেল ছেলের কোন ফোন আসলোনা, বাবা-মা ছেলের ফোনের অপেক্ষায় বসে রইলো দিনের পর দিন, মাসের পর মাস ছেলের সন্ধান আর মিললো না অবশেষে পিতা-মাতার চোখের জল বছরের পর বছর গড়িয়েই চললো, এই সংবাদ কোন মিডিয়াতে, কোন খবরের কাগজে প্রকাশ হলোনা, এবং জিতে গেল রাস্তায় পরিচিত হওয়া ফেসবুকে পরিচিত হওয়া, ওয়েব সাইডে পরিচিত হওয়া দালালেরা যারা ১৪ লাখ টাকা বডি কন্ট্রাক্ট করে লোক নিয়েও শান্ত হয়নি মাফিয়া চক্রের হাতে তুলে দিল কানাডিয়ান দালাল চক্র কিন্তুু সম্পূর্ণ হাত বা সহযোগীতা ছিল বাংলাদেশী দালাল চক্রের। দালালদের আরেকটি মুখোস্ উন্মচোন করি উপরের ঘটনার সাথে বাংলাদেশের শতকরা ২০% দালালরা জরিত আর ৬০% দালাল জরিত ধোঁকাবাজিতে ব্যস্ত, আপনি যে কোন মাধ্যেমে বিদেশ যাওয়ার জন্য দালালের অফিসে গেলেন হয়তো টুরিস্ট ভিসার জন্য নয়তো ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য, বিভিন্ন লোভনীয় অফার আপনাকে দিবে ঢাকার বসুন্ধরা, যমুনা ফিউচার পার্ক, ঢাকার গুলশান, বনানী মতন অভিজাত এলাকার অফিসগুলো থেকে, অফিসের ডেকোরেশন দেখলে মাথা ঘুরিয়ে যাবে, ঐখানের দালালরা বাংলা-ইংরেজী মিশ্রণ করে কথা বলে, কথা শুনলে মনে হবে আধা ঘন্টা আগে শাহ্-জালাল বিমান বন্দর থেকে মাত্র নেমেছে তার জীবনী বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় সিলেটও সে জীবনে যায়নি, ট্রাভেল এজেন্সির নাম দিছে (আমেরিকান-ফ্রান্স এক্সপ্রেস টুর এন্ড ট্রাভেল এজেন্সি) তারা আপনাকে বলবে স্যার আপনার ভিসার আগে কোন টাকা আমাদের দিতে হবেনা তবে যদি ভিসা না হয় ওয়ার্ক পারমিট বা ইনভাইটেশন লেটার এবং অফিস খরচ বাবদ ৩০ হাজার টাকা কেটে নেয়া হবে, একটা মানি রিছিট ধরিয়ে দেওয়া হয়। মূলত তারা ব্যবসাটা করেন ঐ আপনার দেওয়া ৩০ হাজার টাকা এমন করে ১০ জন আদম প্রতিমাসে জোগাড় করলেই ষ্টাফ খরচ এবং অফিস খরচ + দালালের সংসার খরচ উঠে যায় ইহা দ্বিতীয় ধান্দাবাজী, প্রতারনার আরেক নাম। তৃতীয় ধান্দাবাজী ফাদ শুনুন খুব নামাজী, ফরেজগার, নামাজ পড়তে পড়তে কপালে টিউমার তৈরি করে ফেলেছেন নামের আগে হাজী, আলহাজ্ব উপাধী লাগিয়ে ট্রাভেল এজেন্সি খুলেছেন, দাড়ী, টুপি, জুব্বা দৈনিক অফিসের ড্রেসের সাথে সংযুক্ত হাতে তজবীহ্ তারা সহজ-সরল মানুষদের কে ইসলামের দোহাই দিয়ে আদম ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, বুঝতে হবে জঙ্গী ইসলামের লেবাস ব্যবহার করে চলছে এরা কখনই কোন ধর্মের হতে পারেনা যা প্রমান করেছেন বর্তমান সরকার ঠিক তেমনি আদম ব্যবসায়ী যারা তারা কোন ধর্মের হতে পারেনা তারা দালাল, মনে রাখতে হবে তাদের লাভের কারনেই আপনাকে/ আমাকে বলির পাঠা বানাচ্ছে।
(বিদেশের ব্যপারে টাকা এডভান্স করলে কী ডকুমেন্ট নেয়া প্রয়োজন)
সকলেই নিরাপদ থাকুন এবং নিশ্চিত ভাবে যেনে/শুনে বিদেশ পাড়ি দিন আগে যে দেশে যাবেন Google এ সার্চ দিয়ে ঐদেশের ভৌগলিক, অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্ক জানুন, কোম্পানি সম্পর্কে জানুন কারন আপনার সপ্ন ভাঙ্গার অধিকার পৃথীবির কারো নাই //
রিজেক্সান এবং ব্যান পোস্ট থেকে যা শিক্ষণীয়: