Anik

Written by Anik M. Rahman, Civil Engineer, Ontario Power Generation,

Bachelor of Engineering in Civil Engineering, Memorial University of Newfoundland.

Full Story here: https://www.facebook.com/groups/BSAAC/permalink/1441132059258693


©PBSCU This document is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-ShareAlike 4.0 Unported License. This license allows you to use, share and modify the document for noncommercial purposes only as long as it is redistributed under the same license and attribution to this work is made according to the license rules. We request that you cite the original writer’s name and the group’s name in all cases.


Anik was one of the very first students who took help from the group and immediately joined the group as a moderator. He is currently giving back to the group as an active moderator. His smartness can be seen from his various activities and he is a proud product of Bangladesh. 


২০১0 সালের কথা, উচ্চ-মাধ্যমিকে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় থেকে ভাবতে শুরু করি ভবিষ্যতে কি করতে চাই। ছোটবেলা থেকেই ভ্রমণ এবং রোমাঞ্চ এর প্রতি ছিল প্রচুর আগ্রহ। সেই ইচ্ছা থেকেই মূলত বিদেশে স্নাতক করতে আসা। যেহেতু ইংরেজি ছাড়া অন্য কোন বিদেশি ভাষায় দক্ষতা ছিলনা, তাই কানাডা আর আমেরিকাই ছিল প্রথম পছন্দ।


তৎকালীন সময়ে, বিদেশে আছে এমন পরিচিত নিজের কোন বড়ভাই বা বোন ছিলনা, তাই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রথমত আমার সঙ্গে সম্পদ বলতে শুধু ছিল কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগ। সেসময় প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করে দিতাম অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে। যেহেতু প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের জন্যে প্রায় ৫০ ডলারের সমান ফি গুনতে হত, তাই নিজের পছন্দ মত হাতে গোনা কিছু বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নেই।


২০১১ তে উচ্চ-মাধ্যমিক শেষে যখন সব বন্ধুরা বুয়েট/মেডিকেল/ঢাবি তে ভর্তির জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে আমি SAT / IELTS এর জন্যে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করি। ভাল বৃত্তির প্রস্তাব, সাশ্রয়ী বাৎসরিক বেতন এবং হাতে-কলমে কাজ করা যায় (Co-operative Education) এরকম প্রকৌশল অনুষদ থাকায়, আমি মেমোরিয়াল ইউনিভার্সিটি অফ নিউফাউনডল্যান্ড (http://www.mun.ca/coop/programs/engineering) কে বেছে নেই আমার চূড়ান্ত গন্তব্য হিসেবে।


মজার বিষয় হল, যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ করি, ঠিক তখনই বুঝে উঠি যে আসলে এই সব ই বৃথা যাবে যদি না ভিসা প্রক্রিয়াই সফল হই। হটাৎই একদিন গুগল এর কল্যাণে কানাডা ভিসা ফোরাম নামের এক ওয়েবসাইট এর সন্ধান পাই। সেখানে সেসময় দুজন বাংলাদেশি বড়ভাই খুব সাহায্য করে ভিসা প্রক্রিয়া সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে। এই ভিসা ফোরাম টি মূলত সেসময় ছিল সব দেশের নাগরিকদের কানাডা ভিসার / অভিবাসি প্রোগ্রামের আলোচনার এক কেন্দ্রস্থল। যেহেতু একেক দেশের জন্যে ভর্তি এবং ভিসার রীতি একেক, তাই প্রয়োজন অনুভব করি এরকম এক ফোরামের যেখানে শুধু বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি এবং ভিসা সংক্রান্ত তথ্যই আদান-প্রদান করা যাবে। এমনই সময়ে খোঁজ পাই P.B.S.C.U. (https://www.facebook.com/groups/BSAAC/) ফেইসবুক গ্রুপ এর।


সেসময়ে আমার ভিসা আর স্নাতক এ ভর্তির অভিজ্ঞতা থেকে এই গ্রুপ এ নিয়মিত অংশগ্রহণ করা শুরু করি। একপর্যায়ে, ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময়ে P.B.S.C.U. এর প্রতিষ্ঠাতা ড. মারুফ ভাই প্রস্তাব দেয় পরিচালক মণ্ডলীর সদস্য হবার। বলা বাহুল্য, সেচ্ছাসেবামূলক এবং অলাভজনক এ দুই মূল বৈশিষ্ট্যের কারনে আমি সহ আরও অনেকে সেসময় P.B.S.C.U. এ যোগ দেই। বিগত পাঁচ বছরে (২০১২ - ২০১৭) P.B.S.C.U. এর সাথে থেকে কানাডায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সাফল্যের সাক্ষী হতে পেরে সকলের মত আমিও আজ গর্বিত। সবার জন্যে অসংখ্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল। খোদা হাফেয।